এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::
যাতায়াতের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত ঈদগাঁও আলমাছিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি অল্প বৃষ্টিতে যত্রতত্র স্থানে ছোট বড় গর্তে পানি জমে বেহাল দশায় পরিনত হয়ে পড়েছে। বেকায়দায় পড়েছে স্কুল – কলেজ ও মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষার্থীরা। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্রছাত্রীরা নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতি পেরিয়ে দৈনিক তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনমুখী হতে দেখা যাচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিন পাশ্বর্স্থ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ না করার কারনে মাদ্রাসা সড়ক দিয়ে বর্তমানে জন ও যানবাহন চলাচল অনেকটা বেড়েই গেছে। উক্ত সড়কটি মরন দশার কবলে পড়ে চলাফেরার অযোগ্য বললেই চলে। কোন বিবেকবান বা সুস্থ মানুষ একবার এ রাস্তা দিয়ে কোনভাবেই যাতায়াত করলে দ্বিতীয়বার সে আর আসবেনা এমনি অবস্থা। এ সড়ক দিয়ে আসা আজকের ককসবাজারের প্রতিনিধি চোখে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। মাদ্রাসা গেইট সংলগ্ন দু পাশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হলেই, সকাল বেলায় অল্প বৃষ্টির পানি জমে জন ও যান চলাচল অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। পাশাশাশি কবর স্থান সংলগ্ন রাস্তার মাঝ অংশে ছোট বড় গর্তের কারনে চলাচলে দারুন ভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। এসব পেরিয়ে শিক্ষালাভ করতে শিক্ষাঙ্গনমুখী হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী সমাজ। সন্ধ্যাকালীন সময়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর দূর্ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করেন সাধারন লোকজন। পথচারী নুরুল আজিম ও মোহাম্মদ আলম তাহের জানান, বর্তমানে ব্যস্তবহুল সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মাদ্রাসা সড়কটি। সড়ক জুড়েই প্রায় অংশে গর্ত আসলেই ঝুকিঁপূর্ন। রক্ষা পেতে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই। বেশ কয়েক শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান সময়ে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মাদ্রাসা সড়কটি সংস্কার অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত অযথা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীসহ সাধারন মানুষজনদেরকে। তাই দ্রুত সময়ে এ গুরুত্ববহ সড়ক সংস্কারের দাবী পথচারী,শিক্ষার্থী,যাত্রী সমাজ ও সচেতন এলাকাবাসীর।
পাঠকের মতামত: